নারী শিক্ষা বিষয়ে ভারতীয় শিক্ষাবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি ভূমিকা (Indian Female Educationist)

প্রাচীনকালে ভারতবর্ষে নারীরা শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকতো। কিন্তু ভারতবর্ষে বিভিন্ন মনীষীদের প্রচেষ্টায় নারী শিক্ষার অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়। তাই নারী শিক্ষা বিষয়ে ভারতীয় শিক্ষাবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি ভূমিকা (Indian Female Educationist) ছিল বিশেষভাবে অগ্রগণ্য।

নবজাগরণের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল নারী মুক্তি ও নারী শিক্ষা। এক্ষেত্রে ভারতীয় সমাজে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন মনীষী বিভিন্ন দিক থেকে বিশেষভাবে তাদের অবদান রেখেছেন। নারী শিক্ষা বিস্তারে ভারতীয় শিক্ষাবিদদের মধ্যে অন্যতম হল – রাজা রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ প্রমূখ।

নারী শিক্ষা বিষয়ে ভারতীয় শিক্ষাবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি ভূমিকা (Indian Female Educationist)

নারী শিক্ষা বিস্তার সাধনের ক্ষেত্রে এবং নারী শিক্ষার বিষয়ে ভারতীয় শিক্ষাবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি ভূমিকা (Indian Female Educationist) বিশেষ উল্লেখযোগ্য। যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন ভারতীয় শিক্ষাবিদ নারী শিক্ষার বিস্তার সাধনের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সচেষ্ট হয়েছিলেন। এখানে নারী শিক্ষা বিষয়ে ভারতীয় শিক্ষাবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি ভূমিকা আলোচনা করা হলো।

নারী শিক্ষা ও স্বামী বিবেকানন্দ

নারী শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে বা নারী শিক্ষা বিষয়ে ভারতীয় শিক্ষাবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি ভূমিকা -র মধ্যে বিবেকানন্দ ছিলেন অন্যতম। স্বামী বিবেকানন্দ নারী শিক্ষার বিস্তারের ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন, সেগুলি হল –

1. নারী শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা

স্বামী বিবেকানন্দের নারী শিক্ষার ভিত্তি ছিল আধ্যাত্মিক ও নৈতিক আদর্শ। তিনি প্রাচীন ভারতীয় নারী সিতা, সাবিত্রী, খনা, লীলাবতী, গার্গী প্রমূখ নারীদের আদর্শকে সামনে রেখে নারী শিক্ষার আবশ্যিকতাকে স্বীকার করে নিয়েছিলেন।

নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বিবেকানন্দ বলেন – আমাদের দেশের মেয়েরা বিদ্যাবুদ্ধি অর্জন করুক এ আমি খুবই চাই। কিন্তু পবিত্রতা বিসর্জন দিয়ে যদি তা করতে হয়, তবে নয়।

2. নারী শিক্ষার পাঠক্রম

নারী শিক্ষার পাঠক্রম এর ক্ষেত্রে বিবেকানন্দ প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী উপাদানগুলির উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। যেমন – ভাষা, সাহিত্য, গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, শিল্পকলা, ধর্ম, দর্শন প্রভৃতি।

3. বিদ্যালয় স্থাপন

নারী শিক্ষার বিস্তার সাধনের ক্ষেত্রে বিবেকানন্দ বেলুড় মঠের সমান্তরাল মেয়েদের মঠের পরিকল্পনা করেছিলেন। তারই বাস্তবায়ন হল – সারদামঠ। তাছাড়া স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নারী শিক্ষার বিস্তারে ও প্রসারে ভগিনী নিবেদিতা বিশেষভাবে সাহায্য করেছিল। তারই আত্মত্যাগ হিসেবে ‘নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠিত হয়।

সর্বোপরি, নারী শিক্ষার সংজ্ঞা ও নারী শিক্ষার বিস্তার সাধনের গুরুত্ব সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দ (Swami Vivekananda) বলেছিলেন – একটি ডানার সাহায্যে পাখি যেমন আকাশে উড়তে পারে না, তেমনি শুধুমাত্র পুরুষজাতি শিক্ষিত হলে সামাজিক সুস্থতা বজায় থাকে না। তাই নারীদের শিক্ষার মধ্য দিয়ে আগে তুলতে হবে। তবেই সমাজের কল্যাণ সাধন সম্ভবপর হবে।

নারী শিক্ষা ও বিদ্যাসাগর

নারী শিক্ষা বিষয়ে ভারতীয় শিক্ষাবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি ভূমিকা -র মধ্যে অন্যতম হল ঈশ্বরচন্দ্র ও দয়ারসাগর বিদ্যাসাগর। সামাজিক কুসংস্কারযুক্ত ও অন্ধকারযুক্ত সমাজে নারী শিক্ষার বিস্তার সাধনের ক্ষেত্রে বিদ্যাসাগরের ভূমিকা অনবদ্য। তৎকালীন পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বিদ্যাসাগর নারী শিক্ষার মধ্য দিয়ে নবজাগরণের সূচনা করেছিলেন।

নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বিদ্যাসাগরের বিভিন্ন অবদান পরিলক্ষিত হয়। সেগুলি হল –

1. বিদ্যালয় প্রতিষ্টা

নারীশিক্ষা প্রসারে বিদ্যাসাগর বেথুন সাহেবের সহায়তায় ১৮৪৯ সালে মেয়েদের জন্য অবৈতনিক স্কুল প্রতিষ্টা করেন। যেটি পরে বেথুন বালিকা বিদ্যালয় নামে পরিচিত হয়। ১৮৫০ সালে ডিসেম্বরে বিদ্যাসাগর বেথুন বালিকা বিদ্যালয়ে সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বিদ্যাসাগর এই বেথুন স্কুলে দীর্ঘদিন সম্পাদক হিসেবে স্কুল পরিচালনায় যথেষ্ট যোগ্যতা ও কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন।

2. বিদ্যালয় পরিচালনা

বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে বিদ্যাসাগরের বলিষ্ট মতাদর্শ পাওয়া য়ায়। বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে বিদ্যাসাগর যেসমস্ত সুপারিশ করেছিলেন, তা হল –

  • একজন শিক্ষকের পরিবর্তে দু’জন শিক্ষক নিয়োগ,
  • উচ্চবেতন দিয়ে (কমপক্ষে মাসিক ৫০ টাকা) একজন হেড পন্ডিত নিয়োগ,
  • বিদ্যালয়গুলিতে উপযুক্ত পরিদর্শক নিয়োগ প্রভৃতি।

3. নারীশিক্ষা ভান্ডার গঠন

সরকারিভাবে আর্থিক সাহায্য পর্যাপ্ত না আসার ফলে, বিদ্যাসাগর বিদ্যালয়গুলি সঠিকভাবে পরিচালনা ও পর্যাপ্ত পরিমানে অর্থযোগানের জন্য বেসরকারীভাবে ‘নারীশিক্ষা ভান্ডার’ নামক তহবিল গঠন করেন। তৎকালীন ছোটলাট বিডন সাহেবও মাসিক ৫৫ টাকা করে অর্থ সাহায্য করতেন।

এগুলি ছাড়াও নারী শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে বিদ্যাসাগর মাতৃভাষার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন এবং মাতৃভাষায় বিভিন্ন বইও রচনা করেন। যেগুলি শিক্ষাক্ষেত্রে আজও প্রাসঙ্গিক।

নারী শিক্ষা ও রামমোহন রায়

ভারতীয় বিভিন্ন শিক্ষাবিদদের মধ্যে নারী শিক্ষার বিস্তারের ক্ষেত্রে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। তিনি একদিকে সতীদাহ প্রথা যেমন রদ করেছিলেন, ঠিক তেমনি সমাজে নারী শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রেও তার বিশেষ ভূমিকা পরিলক্ষিত হয়। নারী শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা হল –

1. শিক্ষার সমান অধিকার

রামমোহন রায়ের সমাজ সংস্কারক বিভিন্ন দিকের মধ্য দিয়ে নারী শিক্ষার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সচেষ্ট হয়েছিল। তাই রাজা রামমোহন রায় সর্বপ্রথম নারীদের শিক্ষা ক্ষেত্রে সমান অধিকারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন।

2. নারী কল্যাণ সাধন

ঊনবিংশ শতকের ঘুণধরা পুরুতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে রাজা রামমোহন রায় সোচ্চার হয়েছিলেন। প্রচলিত সামাজিক কুসংস্কার ও গোঁড়ামির অপসারণ করে নারীজাতির কল্যাণ সাধনের মধ্য দিয়ে সমাজজীবনকে কলুষমুক্ত ও নারী শিক্ষার বিস্তার সাধন করতে চেয়েছিলেন।

3. সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠা

তৎকালীন পুরুতান্ত্রিক সমাজে নারীর সমান সামাজিক অধিকার ছিল না। অর্থাৎ মেয়েরা সামাজিক যাবতীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকতো। এমনকি মেয়েদের জন্য যথাযথ শিক্ষার ব্যবস্থা সমাজে প্রচলিত ছিল না। রাজা রামমোহন রায় সর্বপ্রথম নারীদের সমান সামাজিক অধিকার ছাড়া সমাজের সামগ্রিক উন্নতি সম্ভব নয় একথা বলিষ্ঠ কণ্ঠে উল্লেখ করেছিলেন।

4. পুস্তক প্রকাশ

রাজা রামমোহন রায় ১৮২২ সালে ‘নারীদের প্রাচীন অধিকারের বর্তমান সংকোচনের উপর সংক্ষিপ্ত মন্তব্য’ নামে একটি পুস্তক রচনা করেন। এছাড়া ‘সংবাদ কৌমুদি’ পত্রিকাতে দরিদ্র বিধবাদের সাহায্যের জন্য একটি সমিতি গঠনের জন্য সরকারকে অনুরোধ করেন।

তাই বলা যায়, ভারতীয় শিক্ষাবিদ হিসেবে রাজা রামমোহন রায়ের নারী শিক্ষা চিন্তা বিশেষ প্রশংসার দাবি রাখে।

নারী শিক্ষা ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শিক্ষার প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষভাবে নারী শিক্ষার বিস্তার সাধনের ক্ষেত্রে ভারতীয় শিক্ষাবিদদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে। নারী শিক্ষার বিস্তারের ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ বিভিন্ন স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন ও শিক্ষার ধারাকে অব্যাহত রাখেন।

1. নারী শিক্ষা বিস্তার

রবীন্দ্রনাথ নারী শিক্ষার বিস্তার সাধনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন লেখাপত্রে, ছোটগল্পে, উপন্যাসে নারীদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন। যেমন – ‘স্ত্রীর পত্র’, ‘ঘরে বাইরে’, ‘চতুরঙ্গ’, ‘ হৈমন্তী’ প্রভৃতি। তার বলিষ্ঠ লেখনীর প্রভাবে সমাজ নারীদের উপর নির্যাতন, বৈষম্য, শোষণ প্রকৃতি সম্পর্কে সচেতনতা করার মাধ্যমে আন্দোলন গড়ে তুলতে উদ্যোগী হন।

১৮৮৯ সালে ভারতীয় পত্রিকায় নারী মুক্তি আন্দোলন নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন। রবীন্দ্রনাথ বলেন – নারীদের শিক্ষার প্রসার করা সমাজের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।

2. নারী শিক্ষার প্রতিষ্ঠান স্থাপন

নারী শিক্ষার বিস্তারের ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের অবদানের মধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন আশ্রম বিদ্যালয় ছেলেমেয়েদের উভয়ের জন্য শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি প্রকৃতির মুক্ত প্রাঙ্গনে শিক্ষার জন্য যাবতীয় প্রচেষ্টা করেছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ নারী শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে ‘ নারী চর্চা’ বিভাগ খুলে ছিলেন। ১৯২২ -এর শান্তিনিকেতনে নারী বিভাগের কাজকর্ম চলতে থাকে স্নেহলতা সেনের তত্ত্বাবধানে। স্নেহলতা মেয়েদেরকে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে ও অন্যান্য কাজে ব্যস্ত রাখার মাধ্যমে শিক্ষাদানের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করতেন।

১৯০৮ সালের প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পরবর্তীকালে বিশ্বভারতীতে রূপান্তরিত হয়। যা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে।

তাই বলা যায়, রবীন্দ্রনাথ তার লেখনীর মাধ্যমে সমাজে নারী শক্তিকে জাগিয়ে তোলার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। তার রচনাগুলিতে বিভিন্ন নারী চরিত্রের মাধ্যমে পুরুষশাসিত সমাজ ব্যবস্থা দ্বারা নারীদের উপর অত্যাচার, শোষণ ও বিভিন্ন ধরনের নিয়ম-কানুন প্রভৃতি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছিলেন। যেগুলি নারী শিক্ষা ও নারী মুক্তির আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করেছিল।

নারী শিক্ষায় রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকানারী শিক্ষায় বিদ্যাসাগরের ভূমিকা
নারী শিক্ষা বিষয়ে ভক্তবৎসলম কমিটির সুপারিশনারী শিক্ষা সংক্রান্ত হংসরাজ মেহেতা কমিটির সুপারিশ
নারী শিক্ষায় দূর্গাবাঈ দেশমুখ কমিটির সুপারিশনারী শিক্ষায় মিশনারীদের অবদান

👉 আরোও পোস্ট পড়ুন – Click Here Now

👉 নারী শিক্ষা প্রজেক্ট (Women Education Project) – নারী শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ের বা টপিকের প্রজেক্ট করার জন্য এই লিংকে https://edutiips.com/category/women-education/ ভিজিট কর।

উপসংহার (Conclusion)

সর্বোপরি বলা যায়, নারী শিক্ষার বিস্তারের ক্ষেত্রে নারী শিক্ষা বিষয়ে ভারতীয় শিক্ষাবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি ভূমিকা (Indian Female Educationist) ছিল বিশেষ প্রশংসা যোগ। প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় নারীদের শিক্ষাদানের ব্যবস্থা সেভাবে গুরুত্ব আরোপ হতো না। তাই নারীরা যাতে শিক্ষার মাধ্যমে সমাজের গ্রহণযোগ্যতা লাভ করতে পারে বা সমাজের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হতে পারে সে বিষয়ে বিভিন্ন মনীষীদের বা শিক্ষাবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্যসূত্র (References)

  • Ravi, S. Samuel, A Comprehensive Study of Education, Fourth Printing-May 2016, Delhi – 110092, ISBN – 978-81-203-4182-1
  • Internet Sources

প্রশ্ন – নারী শিক্ষা প্রজেক্ট

উত্তর – নারী শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ের বা টপিকের প্রজেক্ট করার জন্য এই লিংকে https://edutiips.com/category/women-education/ ভিজিট কর।

প্রশ্ন – বিশ্ব নারী দিবস কবে পালিত হয়?

উত্তর – বিশ্ব নারী দিবস ৮ই মার্চ পালিত হয়।

আরোও পড়ুন

Leave a Comment

close