স্বাধীন ভারতবর্ষের শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে ১৯৬৮ ও ১৯৮৬ সালের জাতীয় শিক্ষানীতির পর জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ (Recommendations of NEP 2020) গ্রহণ করা হয়। যা শিক্ষা ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।
স্বাধীন ভারতের শিক্ষা বিস্তারের জন্য বিভিন্ন কমিশন গঠিত হয়। ১৯৬৪-৬৬ সালের কোঠারি কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে সর্বপ্রথম ১৯৬৮ সালে জাতীয় শিক্ষানীতি (NEP 1968) গৃহীত হয় এবং পরবর্তীকালে ১৯৮৬ সালে সংশোধিত জাতীয় শিক্ষানীতি (NEP 1986) গৃহীত হয়। পরবর্তীকালে এক বিংশ শতাব্দীর শিক্ষা বিস্তারের জন্য এবং বর্তমান ভারতবর্ষের চাহিদা কে গুরুত্ব আরোপ করে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ (NEP 2020) গৃহীত হয়। এখানে জাতীয় শিক্ষানীতির বিভিন্ন দিক আলোকপাত করা হলো।
জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 এর সুপারিশ | Recommendations of NEP 2020
একবিংশ শতাব্দীতে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরোও উন্নত (Education Reform in India) করে তোলার জন্য ও বিশ্বের কাছে ভারতে ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ (New National Education Policy) গ্রহণ করা হয়।
২০২০ সালে ভারতের সরকার National Education Policy 2020 (NEP 2020) ঘোষণা করে যা স্বাধীনতার পর তৃতীয় জাতীয় শিক্ষানীতি। এর মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষা ব্যবস্থার পূর্ণ সংস্কার (comprehensive education reform) এবং ২১ শতকের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষাকে নতুনভাবে গড়ে তোলা।
দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে আলোচনা ও পর্যালোচনার মাধ্যমে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ রচিত হয়। এটির সূচনা হয় ২০১৫ সালে। এরপর ২০১৭ সালে ইসরোর প্রাক্তন প্রধান ডক্টর কে. কস্তুরীরঙ্গন -এর নেতৃত্বে একটি খসড়া কমিটিগঠিত হয়। উক্ত কমিটি 2019 সালে জনগণের সামনে উপস্থাপন করেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে ২০২০ সালের ২৯ শে জুলাই জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ ক্যাবিনেটে পাশ হয়।
এখানে জাতীয় শিক্ষানীতির সুপারিশ (Recommendations of NEP 2020) ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচনা করা হল –
জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 -এর মূল লক্ষ্য | Main Aim asnd Objectives of National Education Policy 2020 (NEP 2020)
জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 -এর মূল লক্ষ্যগুলি (Main Aim asnd Objectives of National Education Policy 2020) হল নিম্নলিখিত –
i) জাতীয় শিক্ষানীতির মূল লক্ষ্য হল দক্ষতা সৃষ্টি। অর্থাৎ একবিংশ শতাব্দীর জন্য উপযোগী করে তোলার প্রয়োজনীয় দক্ষতা সৃষ্টি করাই হল জাতীয় শিক্ষানীতির অন্যতম লক্ষ্য।
ii) সামগ্রিক উন্নয়ন সাধন. অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশ সাধন জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ -এর অন্যতম লক্ষ্য।
iii) মাল্টিডিসিপ্লিনারি শিক্ষা প্রদান। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা হবে মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রকৃতির বা বহুমুখী। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে একাধিক বিষয়ের জ্ঞান অর্জন করবে।
iv) জীবনব্যাপী শিক্ষা প্রদান করা। জাতীয় শিক্ষানীতির ২০২০ -এর অন্যতম লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীদের জীবনব্যাপী শিক্ষা অর্জনের উপযোগী করে গড়ে তোলা। এর ফলে শিক্ষার্থীরা সমগ্র জীবনব্যাপী শিক্ষা লাভের সুযোগ পাবে ও নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করে তুলবে।
v) শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার। আধুনিক শিক্ষাকে প্রযুক্তির নির্ভর করে তোলার জন্য জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অন্যতম লক্ষ্য হলো শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তিকে আরোও বিস্তৃত ও ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা।
vi) বিশ্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অনুযায়ী বিশ্বে ভারতীয় শিক্ষা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা। অর্থাৎ ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নততর করার মাধ্যমে বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলা।
vii) NEP 2020 -এর লক্ষ্য হল 2030 সালের মধ্যে প্রাক-বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক স্তরে GER 100%-এ উন্নীত করা, যেখানে উচ্চশিক্ষায় GER 26.3% (2018) থেকে 2035 সালের মধ্যে 50%-এ উন্নীত করা।
প্রাথমিক পর্যায়ে পরিবর্তন | Foundational Learning Reform
NEP 2020 অনুযায়ী, ৩ থেকে ৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্য ‘Foundational Stage’ চালু হয়েছে। এতে খেলা-ভিত্তিক ও আনন্দদায়ক শিক্ষা পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। শিশুর মানসিক ও সামাজিক বিকাশে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে Anganwadi ও প্রাথমিক বিদ্যালয়কে একত্রে কাজ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
Early Childhood Care and Education (ECCE) এর সুপারিশ। অর্থাৎ প্রাক শৈশব শিশুদের পরিপূর্ণভাবে যত্নের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে হোলিস্টিক শিক্ষার (Holistic Education) উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষায় নতুন শ্রেণিকাঠামো | 5+3+3+4 Structure
পুরনো 10+2+3 কাঠামোর পরিবর্তে শিক্ষা নীতি ২০২০ -এর মধ্যে 5+3+3+4 কাঠামো অনুসরণ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীর বয়স অনুযায়ী শিক্ষার স্তর নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষায় ধারাবাহিকতা আনা হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এই নতুন কাঠামোটি হল –
স্তর | সময়কাল | শ্রেণি | বয়স | মূল বৈশিষ্ট্য |
---|---|---|---|---|
5 বছর | Foundational Stage | 3 বছর প্রাক-প্রাথমিক + শ্রেণি 1 ও 2 | 3 – 8 বছর | খেলাধুলা, গল্প, গান, মৌলিক পাঠে পরিচয় |
3 বছর | Preparatory Stage | শ্রেণি 3 – 5 | 8 – 11 বছর | পঠনপাঠন, লেখালেখি, বিজ্ঞান, গণিতের ভিত্তি |
3 বছর | Middle Stage | শ্রেণি 6 – 8 | 11 – 14 বছর | বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা, কোডিং, স্কিল ডেভেলপমেন্ট |
4 বছর | Secondary Stage | শ্রেণি 9 – 12 | 14 – 18 বছর | গভীরতর জ্ঞান, বহুবিষয়ক পদ্ধতি, বোর্ড পরীক্ষা |
মাতৃভাষায় শিক্ষা | Mother Tongue Based Learning
শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হয়। এই শিক্ষানীতি অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষায় পড়াশোনা করবে। এতে তারা সহজে বিষয়বস্তু বুঝতে পারবে ও আত্মবিশ্বাসী হবে। শিক্ষার প্রাথমিক ভিত্তি মজবুত হবে। ইংরেজির চাপে মাতৃভাষা হারানোর প্রবণতাও কমবে।
তাছাড়া আঞ্চলিক ভাষায় পাঠ্যবই ও অনুবাদকেন্দ্র গড়ে তোলার সুপারিশ করা হয়েছে। Indian Language Institutes-এর মাধ্যমে বিভিন্ন ভাষার উন্নয়ন ঘটানো হবে। পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাও গুরুত্ব পাবে, তবে মাতৃভাষার বিকল্প হিসেবে নয় বরং সহায়ক হিসেবে।
আবার, শিক্ষার্থীদের বহুভাষিক দক্ষতা গড়ে তোলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতার যোগ্যতা তৈরি হবে। তাই এই শিক্ষানীতির মাধ্যমে ভাষা-ভিত্তিক বৈষম্য কমবে ও শিক্ষার্থীরা আত্মবিশ্বাস পাবে। সুতরাং ভাষা হবে শেখার একটি মাধ্যম, বাধা নয় — এটাই এই নীতির মূল দর্শন।
মূল্যায়ন পদ্ধতির সংস্কার | Assessment Reform
NEP 2020-এ পরীক্ষাভীতি কমাতে ধারাবাহিক মূল্যায়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। PARAKH (Performance Assessment, Review, and Analysis of Knowledge for Holistic Development বা সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য জ্ঞানের কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন, পর্যালোচনা এবং বিশ্লেষণ) নামক একটি নতুন মূল্যায়ন প্রতিষ্ঠান গঠন করা হবে।
শিক্ষার্থীর দক্ষতা ও মনোভাবকেও মূল্যায়নে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। শুধুমাত্র নম্বর নয়, মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ বিকাশ বিবেচনা করা যায়, তার ব্যবস্থা করা।
উচ্চশিক্ষার রূপান্তর | Higher Education Reform
NEP 2020 -অনুযায়ী উচ্চশিক্ষাকে অধিক নমনীয় ও শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হয়েছে সেগুলি হল –
i) একাধিক রেগুলেটরি সংস্থা একত্র করে HECI (Higher Education Commission of India) গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।
ii) উচ্চশিক্ষায় Multiple Entry and Exit System চালু হওয়ায় শিক্ষার্থীরা কোর্সের মধ্যে মাঝপথে বেরিয়ে সার্টিফিকেট/ডিপ্লোমা নিতে পারবে।
iii) Academic Bank of Credits (ABC)-এর মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্জিত ক্রেডিট ভবিষ্যতে ব্যবহার করতে পারবে।
iv) গবেষণা ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে National Research Foundation (NRF) গঠনের প্রস্তাব রয়েছে।
v) Multidisciplinary শিক্ষা ব্যবস্থায় আর্টস, সায়েন্স ও ভোকেশনাল বিষয় একত্রে পড়া যাবে।
vi) বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় তৈরিতে Global Collaboration ও Internationalization কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
vii) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বশাসিত (autonomous) ও Accountable করার সুপারিশ করা হয়েছে।
viii) উচ্চশিক্ষায় মাইনর বা মাল্টিডিসিপ্লিনারি বা সাধারণ ডিগ্রী কোর্স তিন বছরের (Three year Multidisciplinary) এবং মেজর বা অনার্স ডিগ্রি কোর্স চার বছরের করা সুপারিশ করা হয়েছে।
তবে চার বছরের অনার্স বা মেজর কোর্সকে দুটো ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি হলো Research with Hons. or Major ও Research without Hons. or Major. যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা তিন বছরের অনার্স বা মেজর কমপ্লিট করার পর ৭৫% নম্বর পাবে, তারা কেবলমাত্র Research with Hons. or Major কোর্স করতে পারবে আর বাকি শিক্ষার্থীরা নিয়ে চার বছরের Research without Hons. or Major. কোর্স সম্পন্ন করতে পারবে।
শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও যোগ্যতা | Teacher Training
NEP 2020 অনুযায়ী, ভবিষ্যতের শিক্ষককে দক্ষ, সহানুভূতিশীল ও প্রগতিশীল হিসেবে তৈরি করতে হবে। জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও যোগ্যতা সংক্রান্ত যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হয়েছে সেগুলি হল –
i) সকল শিক্ষককে বাধ্যতামূলকভাবে 4-year Integrated B.Ed কোর্স করতে হবে।
ii) শিক্ষক নিয়োগে প্রবেশপথ মানসম্মত করতে TET (Teacher Eligibility Test)-এর গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে।
iii) প্রচলিত ট্রেনিং পদ্ধতির বাইরে গিয়ে ICT-ভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও অনলাইন কোর্স চালুর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
iv) Continuous Professional Development (CPD)-এর মাধ্যমে নিয়মিত স্কিল আপডেট করার ব্যবস্থা থাকবে।
v) শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বাড়ানোর দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
vi) NCTE (National Council for Teacher Education) এর অধীনে Teacher Standards নির্ধারণ করা।
vii) প্রতিটি শিক্ষককে মূল্যায়ন ও প্রতিফলনের মাধ্যমে আত্মউন্নয়নের সুযোগ দিতে হবে। এই রূপান্তরের ফলে শিক্ষকের ভূমিকা শুধু পাঠদান নয়, বরং শিক্ষাদর্শন ও অনুপ্রেরণার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।
ইনক্লুসিভ এডুকেশন ও জেন্ডার ইকুইটি | Inclusive Education and Gender Equity
NEP 2020-এ শিক্ষা ব্যবস্থাকে সকলের জন্য সমানভাবে গ্রহণযোগ্য করতে inclusive and equitable করার সুপারিশ করা হয়েছে। শিক্ষা হবে এমন এক হাতিয়ার যা সামাজিক ন্যায় ও নৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে। এই লক্ষ্য পূরণে কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সুপারিশ গুলি হল –
i) Gender Inclusion Fund গঠনের মাধ্যমে মেয়েদের ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য বিশেষ সহায়তা দান করা হবে।
ii) Divyang (Disabled) শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবন্ধীবান্ধব বিদ্যালয়, শিক্ষাসামগ্রী ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
iii) পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠী যেমন SC, ST, OBC, সংখ্যালঘু ও গ্রামীণ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা থাকবে।
iv) SCP (Socially and Economically Disadvantaged Groups) অনুযায়ী Targeted Interventions নেওয়া হবে।
v) স্কুলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও লিঙ্গ সচেতনতা বৃদ্ধিতে Life Skills প্রোগ্রাম চালু করা হবে।
vi) Scholarships ও Hostel সুবিধা দিয়ে নারী শিক্ষার্থীদের স্কুলে রাখার ব্যবস্থা উন্নত করা হবে।
vii) শিক্ষার মাধ্যমে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য হ্রাস ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি হবে।
জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ তে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সুপারিশ করা হয়েছে। তাই এই পোস্টটিতে আরো সুপারিশ গুলি ধাপে ধাপে অ্যাড করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ পড়তে ও পরবর্তী আপডেট পেতে এই Edutiips.com ওয়েবসাইট ফলো করো।
উপসংহার (Conclusion)
সর্বোপরি বলা যায়, জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 (NEP 2020) ভারতের শিক্ষাক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই শিক্ষানীতির মাধ্যমে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার (Education Reform in India) আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এই শিক্ষা নীতিতে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত একেবারে আধুনিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার পথ তৈরি হয়েছে। এই শিক্ষানীতি অনুযায়ী শিক্ষা কেবলমাত্র পুঁথিগত নয়, বরং জীবনমুখী, দক্ষতাভিত্তিক (Skill-based Education) ও গ্লোবালি কম্পিটিটিভ (Globally Competitive Education System) অনুযায়ী অনুসৃত হচ্ছে।
তথ্যসূত্র (References)
- Education in India-Past-Present-Future, Vol. I and II, J. P. Banerjee
- Landmarks in the History of Modern Indian Education, J. C. Aggarwal
- History of Education in India, Dr. R N Sharma and R K Sharma
- Report of Commissions – Radhakrishnan, Mudaliar, Kothari.
- National Policy on Education, 1986. Policy perspective.
- Internet Sources
প্রশ্ন – NEP 2020 কবে চালু হয়েছে?
উত্তর – ২৯ জুলাই, ২০২০ সালে জাতীয় শিক্ষানীতি (NEP 2020) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়।
জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 উদ্দেশ্য
উত্তর -জাতীয় শিক্ষানীতির 2020 প্রধান উদ্দেশ্য গুলি হল – শিক্ষার সর্বজনীনতা, গুণগত মান বৃদ্ধি, এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২১ শতকের উপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করা।
প্রশ্ন – কার নেতৃত্বে জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 গঠিত হয়?
উত্তর – ইসরোর প্রাক্তন প্রধান ডক্টর কে. কস্তুরীরঙ্গন -এর নেতৃত্বে জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 গঠিত হয়।
আরোও পড়ুন
- জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 সুপারিশ | Recommendations of NEP 2020
- প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দ্বন্দ্ব কি? ধারণা, কারণ ও ফলাফল | Oriental Occidental Controversy
- বৈদিক শিক্ষা ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য | 10 Characteristics of Vedic Education System
- মধ্যযুগে ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য 10টি | Features of Islamic Education System
- ব্রাহ্মণ্য শিক্ষা ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য | 10 Brahmanic Education System Features
- শিক্ষার অধিকার আইন 2009 | Right to Education Act | RTE Act 2009