আধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম অবদান হল দূরদর্শন। বর্তমানে শিক্ষার বিভিন্ন দিকে গণমাধ্যম হিসাবে দূরদর্শন (role of television) বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে।
দূরদর্শন আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর যুগে দ্রুত ও সহজভাবে গণশিক্ষার মাধ্যম হিসেবে শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে থাকে।
টেলিভিশন বা দূরদর্শন (Television or Doordarshan)
ইংরাজী ‘Television’ -এর আক্ষরিক অর্থ হল দূরদর্শন। দূরদর্শন একদিকে শ্রবনমূলক ও অন্যদিকে দর্শনমূলক। ফলে দূরদর্শন থেকে সম্প্রচারিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান সবাই সহজে উপভোগ করতে পারে। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় তাই দূরদর্শনের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
গণমাধ্যম হিসেবে টেলিভিশন বা দূরদর্শনের ভূমিকা (Role of Television as a Mass Media in Education)
বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে দূরদর্শনের কিছু অসুবিধা থাকলে ও দূরদর্শন একদিকে শুধু বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে না। বরং দূরদর্শন (role of television) আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর যুগে দ্রুত ও সহজভাবে গণশিক্ষার মাধ্যম হিসেবে শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে থাকে। সেগুলি হল –
1. প্রদর্শনমূলক
দূরদর্শন একদিকে শ্রবণমূলক অন্যদিকে দর্শনমূলক তথ্য পরিবেশন করে। ফলে সমাজের সকলের কাছে এটি বিশেষভাবে গ্রহণযোগ্য।
2. বাস্তবধর্মী শিক্ষাদান
গণমাধ্যম হিসেবে দূরদর্শন বাস্তবসম্মত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিশেষ ভাবে সাহায্য করে থাকে।
3. জনমত গঠন ও জনশিক্ষার বিস্তার
দূরদর্শন বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রসারণের মাধ্যমে একদিকে যেমন- জনমত গঠন করে, তেমনি জনশিক্ষার বিস্তার সাধন করে।
4. বৈচিত্র্যপূর্ণ অনুষ্ঠান প্রচার
দূরদর্শন বিভিন্ন স্বাদের বিভিন্ন বৈচিত্র্যমূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে। ফলে বিভিন্ন ধরনের মানুষ বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান বা শিক্ষা দূরদর্শন থেকে সহজে অর্জন করতে পারে।
তাই বৈচিত্র্যমূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার দূরদর্শনকে সমাজে আরোও আকর্ষণীয় ও গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।
5. শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশ
দূরদর্শন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বৈচিত্র্যপূর্ণ ও সৃজনশীল বিকাশের উপযোগী বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রদর্শন করে। সৃজনশীলতার বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার শিশুদের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে।
আরোও পোস্ট পড়ুন – Click Here Now
উপসংহার (Conclusion)
আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে গণশিক্ষার মাধ্যম হিসেবে দূরদর্শনের ভুমিকা (role of television) শুধু বোকা বাক্সের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সেই সীমা ছাড়িয়ে দূরদর্শন শিক্ষার্থীদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নান্দনিক দিকের বিকাশ ঘটাতে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে।
তথ্যসূত্র – Click Here
প্রশ্ন – যোগাযোগের ক্ষেত্রে টেলিভিশনের ভূমিকা কি?
উত্তর – যোগাযোগের ক্ষেত্রে টেলিভিশনের ভূমিকা হল –
1. জনমত গঠন ও
2. জনশিক্ষার বিস্তারসাধন করা।
প্রশ্ন – শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে দূরদর্শনের দুটি সীমাবদ্ধতা কি?
উত্তর – শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে দূরদর্শনের দুটি সীমাবদ্ধতা হল –
1. দূরদর্শনে শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের চেয়ে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান বেশি সম্প্রচার করা হয়।
2. দূরদর্শন খরচসাপেক্ষ এবং ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো হচ্ছে।
প্রশ্ন – ভারতে টিভি কবে চালু হয়?
উত্তর – ভারতে টিভি (TV) বা টেলিভিশন (television) চালু হয় 15 সেপ্টেম্বর 1959 সালে।
প্রশ্ন – গণমাধ্যম বলতে কী বোঝো?
উত্তর – গণমাধ্যম হল সমাজে অবস্থিত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে সংযোগ সাধনের বা যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। অর্থাৎ যে মাধ্যমে সামাজিক ব্যক্তির মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক ও ভাবের আদান-প্রদান করতে সাহায্য করে, তাকে গণমাধ্যম বলে। গণমাধ্যম হল যোগাযোগ স্থাপনের সেতুস্বরূপ।
প্রশ্ন – গণমাধ্যমের উদাহরণ দাও।
উত্তর – গণমাধ্যমের অন্যতম উদাহরণ হল – বেতার (Radio), দূরদর্শন (Television), সংবাদপত্র (Newspaper), ইন্টারনেট (Internet) প্রভৃতি।
আরোও পড়ুন
- শিখন সঞ্চালনের তত্ত্ব | Theory of Transfer of Learning
- শিখন সঞ্চালনের প্রকারভেদ | Types of Transfer of Learning
- আগ্রহ কাকে বলে | শিক্ষাক্ষেত্রে আগ্রহের গুরুত্ব লেখ | Interest in Psychology
- শিখন সঞ্চালন কাকে বলে | শিখন সঞ্চালনের বৈশিষ্ট্য | Transfer of Learning
- শিক্ষা মনোবিজ্ঞানের পদ্ধতি | Methods of Educational Psychology
- Definition of Teaching by Different Authors
1 thought on “Role of Television: গণমাধ্যম হিসেবে টেলিভিশনের ভূমিকা”