Share on WhatsApp Share on Telegram

পঠন কাকে বলে | পঠনের বৈশিষ্ট্য গুলি লেখো | Concept of Reading

Join Our Channels

পঠন হল শিক্ষার একটি অন্যতম বিশেষ দিক। এটি একটি সক্রিয় প্রচেষ্টা যার ফলে শিক্ষার্থীরা কোনো কিছু বিষয় সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করতে পারে। তাই পঠনের ধারণা (Concept of Reading) শিক্ষা প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সম্পর্কিত।

শিখনের বিভিন্ন দিক বর্তমান। তাদের মধ্যে পঠন হলো একটি কার্যকরী দিক। কারণ পঠনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যসম্পন্ন হয়। তাই পাঠ অভ্যাস শিক্ষার্থীদের জ্ঞানভান্ডার কে সমৃদ্ধ করে তোলে।

পঠন কাকে বলে | Concept of Reading

মানুষের জ্ঞান অর্জনের একটি অন্যতম উপায় হল পঠন। পঠনের ফলে কোনো পাঠক তার জ্ঞানপিপাসা পরিপূরণ করতে পারে। যে-কোনো বিষয়ে পাঠক স্বাধীনভাবে জানতে চাইলে, বুঝতে চাইলে তাকে বই পড়তেই হবে বা পাঠ করতে হবে।

পঠন হল একটি সক্রিয় প্রচেষ্ঠা যার মাধ্যমে পাঠক কোনো বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে বা বিষয়বস্তুকে বোঝার ক্ষমতা অর্জন করে।

মাইকেল ওয়েস্ট বলেছেন – পঠন হল ধ্বনি ও দৃশ্যের সঙ্গে অর্থ উপলব্ধ এক মিলিত প্রচেষ্টা।

আবার Benet বলেছেন – পঠনের উদ্দেশ্য হল ধীরে ধীরে একটি আদর্শ জীবন গঠনের দিকে যাওয়া, একটি সান্তনা, একটি আশ্রয় ও অনুপ্রেরণা অনন্ত উৎস।

পঠনের বৈশিষ্ট্য গুলি লেখো | Concept of Reading

পঠনের বৈশিষ্ট্য গুলি বিভিন্ন দিক থেকে পরিলক্ষিত হয়। পঠনের যে সমস্ত বৈশিষ্ট্য গুরুত্বপূর্ণ সেগুলি হল নিম্নলিখিত –

1. শিখন নির্ভর পদ্ধতি

পঠন হল শিখন নির্ভর পদ্ধতি। অর্থাৎ পাঠানোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্য সম্পন্ন হয়ে থাকে।। পঠনের সঙ্গে শিখনের একটা অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আছে।

2. উদ্দেশ্যমূলক

পঠন হলো উদ্দেশ্যমূলক। অর্থাৎ নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে পঠনকার্য সম্পন্ন হয়। পঠনের তিনটি উদ্দেশ্য পরিলক্ষিত হয়, সেগুলি হল –

i) আনন্দলাভের জন্য,

ii) তথ্য সংগ্রহের জন্য,

iii) জ্ঞান অর্জনের জন্য।

এ ছাড়া নানারকম উদ্দেশ্য নিয়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে। তাই পঠন হল উদ্দেশ্যমূলক।

3. নির্বাচনমূলক

পঠন হল নির্বাচনমূলক বা নির্বাচনধর্মী প্রক্রিয়া। অর্থাৎ পাঠক নিজের পছন্দ অনুযায়ী বিষয় নির্বাচন করে ও তাই পড়ে। পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়তে পড়তে সে অনেক দূর এগিয়ে যায়। এতে ওই বিষয় সম্পর্কে তার ধারণা বাড়ে ও ব্যক্তিগতভাবে সে সমৃদ্ধ হয়।

4. বোধগম্যমূলক

পঠন একটি জটিল বোধগম্যমূলক প্রক্রিয়া। কোনো লেখক তার চিন্তাধারা বা বক্তব্য লেখার মধ্য দিয়ে প্রকাশ করে এবং সেই লেখা পড়ে বুঝতে হলে অবশ্যই বোধের প্রয়োজন। আর উপলব্ধি বা বোঝা ছাড়া পঠনের কোনো কার্যকারিতা নেই।

5. মূল্যায়ন পদ্ধতি নির্ভর

পঠনের বৈশিষ্ট্য হল – এটি মূল্যায়ন নির্ভর পদ্ধতি। যে বিষয়টি পাঠের জন্য গৃহীত হয়েছে সেটি আর পড়ব কিনা, লেখকের বক্তব্যের সঙ্গে পাঠকের সমর্থন আছে কিনা, অন্য কোনো বিষয়ের সঙ্গে তার সংগতি আছে কিনা ইত্যাদি নানা প্রশ্ন পরবর্তী পঠন প্রসঙ্গে দেখা দিতে পারে। তাই এটি মূল্যায়ন পদ্ধতি নির্ভর।

6. পরিকল্পিত পদ্ধতি

পাঠকের পূর্ব পরিকল্পিত বিষয় হল পঠন। অর্থাৎ সার্থক ও বোধগম্য পঠনের জন্য কিছু দক্ষতা ও নানা পদ্ধতির প্রয়োজন হয়। বিষয়টিকে বোধগম্য করার জন্য পাঠককে বিষয়ের অর্থ অনুমান করতে হয়, মূল অর্থ নির্বাচন করতে হয়, স্তরের মধ্যে দিয়ে মূল অর্থে পৌঁছোতে হয়।

উপসংহার (Conclusion)

আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে পঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন হয়। শিশু যখন পড়তে শেখে তখন সে বানান করে করে পড়ে এবং জ্ঞান অর্জন করে। পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে এই পঠন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ফলে শিশু বা শিক্ষার্থীরা পঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন জ্ঞান আয়ত্ত করতে পারে এবং পঠনের অভ্যস্ত হয় ও কম সময়ের মধ্যে বিষয়ে অর্থ বুঝতে পারে।

তথ্যসূত্র (References)

প্রশ্ন – পঠন কাকে বলে ও তার উদাহরণ দাও?

উত্তর – পঠন হল একটি সক্রিয় প্রচেষ্ঠা যার মাধ্যমে পাঠক বা শিক্ষার্থীরা কোনো বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে বা বিষয়বস্তুকে বোঝার ক্ষমতা অর্জন করে। এর উদাহরণ হল – গল্পের বই পাঠ, কবিতা পড়া, উপন্যাস পড়া ইত্যাদি।

প্রশ্ন – পঠন বলতে কী বোঝো?

উত্তর – পঠন বলতে বোঝায় শিক্ষার্থীদের সক্রিয় প্রচেষ্ঠা, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কোনো বিষয়ে সহজে জ্ঞান অর্জন করতে পারে বা বিষয়বস্তুকে বোঝার ক্ষমতা অর্জন করে।

আরোও পড়ুন

Rate this post

Mr. Debkumar – Author and Founder of Edutiips.com

Mr. Debkumar – Author and Founder of Edutiips.com

A dedicated educator with 10+ years of teaching experience

He is also an active contributor on Quora, where he shares expert insights on education, history, and social issues.

Leave a Comment

close