ভগিনী নিবেদিতার শিক্ষা দর্শন ও শিক্ষা সংস্কার | Role of Sister Nivedita in Educational Reforms

ভারতবর্ষে যেসকল মনীষীদের শিক্ষায় অবদান প্রত্যক্ষভাবে পরিলক্ষিত হয় তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ভগিনী নিবেদিত। ভগিনী নিবেদিতার শিক্ষা দর্শন ও শিক্ষাগত সংস্কার (Role of Sister Nivedita in Educational Reforms) ছিল অসামান্য।

স্বামী বিবেকানন্দের অন্যতম শিষ্যা ভগিনী নিবেদিতা ভারতবর্ষের শিক্ষা বিস্তারে (Sister Nivedita in Educational Reforms) বিশেষ অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে লন্ডন শহরে ভারতীয় সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় এবং ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে ভগিনী নিবেদিতা স্বদেশ ত্যাগ করে ভারতবর্ষে চলে আসেন। ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে ২৫ শে মার্চ তিনি ব্রহ্মচর্য গ্রহণ করেন এরপর থেকে স্বামী বিবেকানন্দ তাকে ভগিনী নিবেদিতা হিসেবে নামকরণ করেন।

ভগিনী নিবেদিতার শিক্ষা দর্শন ও শিক্ষা সংস্কার | Sister Nivedita in Educational Reforms

ভগিনী নিবেদিতা ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দের ২৮ অক্টোবর উত্তর আয়ারল্যান্ডের একটি ছোট্ট শহরে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র 17 বছর বয়সে নিবেদিতা শিক্ষকতার কাজে নিযুক্ত হন। পরবর্তীকালে স্বামীজীর ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে ভারতবর্ষের শিক্ষার উন্নতিতে ভারতের পদার্পণ করেন। তাই নিবেদিতা প্রসঙ্গে বিবেকানন্দ বলেছিলেন – “সমগ্র ভারত একদিন নিবেদিতার ভাবে মুখর হয়ে উঠবে।”

১৮৯৮ সালে ইংল্যান্ড ত্যাগ করে ভারতবর্ষে আসেন। পরবর্তীকালে কলকাতায় নারী শিক্ষার প্রসারের জন্য তিনি স্কুল স্থাপন করেন। ১৯০২ সালে স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণের পর নিবেদিতা বিবেকানন্দের অসমাপ্ত কাজ এবং নারী শিক্ষার প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

ভগিনী নিবেদিতার শিক্ষা দর্শন এবং শিক্ষা সংস্কার বিভিন্ন দিকে বিস্তৃত। বিশেষত নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে ভগিনী নিবেদিতা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।

ভগিনী নিবেদিতার শিক্ষা দর্শন ও শিক্ষা চিন্তা (Sister Nivedita in Educational Reforms) -র মধ্যে প্রয়োগবাদ ও সমাজ শিক্ষার প্রভাব স্পষ্ট পরিলক্ষিত হয়। শিক্ষা ক্ষেত্রে ভগিনী নিবেদিতার যে অসামান্য অবদান তা এখানে আলোচনা করা হলো।

ভগিনী নিবেদিতার মতে শিক্ষার লক্ষ্য

ভগিনী নিবেদিতার শিক্ষা দর্শনের মধ্যে অন্যতম হল শিক্ষার লক্ষ্য। ভগিনী নিবেদিতার মতে, শিক্ষার লক্ষ্য হবে সমগ্র মানুষটিকে তার ব্যক্তিকে গড়ে তোলা। দেহ মনে, সামাজিক সত্তায়, সুষ্ঠ সামাজিক মূল্যবোধ সমন্বিত হবে সে ব্যক্তিত্ব।

তাই স্বামী বিবেকানন্দের মত ভগিনী নিবেদিতার শিক্ষার লক্ষ্য হিসেবে ব্যক্তির বিশুদ্ধ চরিত্র গঠনের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

তাছাড়া ভগিনী নিবেদিতার মতে শিক্ষার লক্ষ্য গুলি হল –

i) ব্যক্তির সামগ্রিক বিকাশ সাধন। সমাজে ব্যক্তির পূর্ণতা লাভ করে তাই সামাজিক সংগঠন হবে সমগ্র মানবজাতির অপরিহার্য অঙ্গ। আর সমাজের মধ্যে এই ব্যক্তিত্বের বিকাশ সাধন সম্ভব পর হবে।

ii) শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য হবে চরিত্রবান মানুষ বা ব্যক্তিত্ব গঠন। অর্থাৎ চরিত্র হলো এক সচল শক্তি। দেশ কাল ভেদে এটি সার্বজনীন সত্য ও শাশ্বত সত্য। তাই স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত ভগিনী নিবেদিতা ব্যক্তির বিশুদ্ধ চরিত্র গঠনকে শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে গণ্য করেছেন।

iii) শিক্ষার লক্ষ্য হবে ব্যক্তিকে সমাজ উপযোগী করে গড়ে তোলা। কারণ সমাজ ছাড়া ব্যক্তিত্বের বিকাশ সম্ভাব নয়। তাই সামাজিক শিক্ষা প্রসঙ্গে ভগিনী নিবেদিতা পরিবারের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছেন।

শিক্ষার পাঠক্রম

ভগিনী নিবেদিতার মতে শিক্ষার পাঠক্রম শিক্ষার লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। ভগিনী নিবেদিতার মতে শিক্ষার পাঠক্রমের মধ্যে যে সমস্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে সেগুলি হল –

i) ভগিনী নিবেদিতা পাঠক্রম পরিকল্পনায় গণিত, বিজ্ঞান, হস্তশিল্প, কুটির শিল্প, কারিগরি বিদ্যার বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্তির কথা বলেছেন। অর্থাৎ তিনি কারিগরি শিক্ষা, দেশীয় হাতের কাজ বা বৃত্তি শিক্ষার উপর গুরুত্ব প্রদান করেছেন। নিবেদিতা বলেছেন – দেশীয় শিল্প সংক্রান্ত কাজ ও বৃত্তি শিক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

ii) শিক্ষার্থীদের নৈতিক চরিত্র গঠনের ক্ষেত্রে নিবেদিতা পাঠক্রমের মধ্যে সংস্কৃত, রামায়ণ, মহাভারত, পৌরাণিক গল্প প্রভৃতি রাখার পক্ষপাতী ছিলেন।

iii) নিবেদিতার রচিত পাঠক্রমের মধ্যে প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য শিক্ষার সমন্বয় পরিলক্ষিত হয়।

iv) ভগিনী নিবেদিতা পাঠক্রমের মধ্যে বিভিন্ন মানবিক বিষয় সমূহকে অন্তর্ভুক্ত করেন। আবার তিনি কর্ম এবং অভিজ্ঞতার সমন্বয় সাধনকে পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেন।

তাই ভগিনী নিবেদিতার পাঠক্রমকে সমন্বিত (Intregrated) পাঠক্রম হিসেবে গণ্য করা যায়। কারণ এখানে কর্ম এবং অভিজ্ঞতার উপর গুরুত্ব আরোপিত হয়েছে।

v) প্রয়োগবাদী দার্শনিকদের মত ভগিনী নিবেদিতা পাঠক্রমে চিন্তা এবং কর্মের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন করতে চেয়েছিলেন। আবার পাঠক্রমকে তিনি মনোবিজ্ঞান সম্মত করতে চেয়েছিলেন।

শিক্ষাপদ্ধতি সম্পর্কে ভগিনী নিবেদিতার অভিমত

ভগিনী নিবেদিতা নিজেই শিক্ষকতা করতেন। তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে পাশ্চাত্য ভাবধারার সঙ্গে প্রাচ্য ভাবধারার সংমিশ্রণ ঘটিয়েছিলেন। নিবেদিতার শিক্ষা পদ্ধতি ছিল শিশুকেন্দ্রিক এবং কর্মকেন্দ্রিক।

ভগিনী নিবেদিতা কর্মের মাধ্যমে শিক্ষার কথা যেমন বলেছেন তেমনি ভারতীয় শিক্ষাধারার একাগ্রতা, ব্রহ্মচর্য ও শৃঙ্খলা গঠনের উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

ভগিনী নিবেদিতার শিক্ষা পদ্ধতির অন্যতম দিক হল সক্রিয়ভিত্তিক শিক্ষা। অর্থাৎ ভগিনী নিবেদিতা সক্রিয়তা ভিত্তিক শিক্ষাদান পদ্ধতির উপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। তা ছাড়া তিনি পরীক্ষা নির্ভর পদ্ধতির দ্বারা শিক্ষাদান করার কথা বলেন।

ভগিনী নিবেদিতা তাঁর প্রবর্তিত বিদ্যালয়ে বস্তুভিত্তিক পাঠদান পদ্ধতি (Object Lession Method) -এর ব্যবস্থা করেছিলেন। এই শিক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন – “বস্তু নির্ভর পাঠের শিশু বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে শিখবে, কেমন করে তার চিন্তা স্রোত মূল কেন্দ্রে ফিরে যাবে নানা ঘটনা পরম্পরার দ্বারা পরিক্ষিত ও সংশোধিত হয়ে তাই সহানুভূতি, সত্যনিষ্ঠতা, নিপুনতা – এই বিশেষ গুণগুলি এই বস্তু নির্ভর পাঠের দ্বারাই গড়ে উঠবে।”

শিক্ষা সহায়ক উপকরণ

ভগিনী নিবেদিতা শিক্ষাকে উপযুক্ত করে তোলার জন্য শিক্ষা সহায়ক বিভিন্ন উপকরণের ব্যবহার করতেন। এর মধ্যে অন্যতম হল চাট, ম্যাপ প্রভৃতি। তিনি শিক্ষাকে মনোবিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে প্রয়োগ করতে চেয়েছিলেন।

নিবেদিতা ইতিহাস পড়ার সময় গল্প বলা পদ্ধতির উপর গুরুত্ব ও অনুসরণ করার কথা বলেছিলেন। নিবেদিতার মতে শিক্ষা পদ্ধতির মূল কথা হল – শিশুর মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত কাজের আগ্রহ গড়ে তোলা। আর এজন্য তিনি বিভিন্ন শিক্ষা সহায়ক উপকরণ ব্যবহারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন।

তাছাড়া নিবেদিতা শিক্ষা ক্ষেত্রে কতগুলি নীতির অনুসরণ করতেন, যেমন

i) পাঠ্য বিষয়বস্তু উপস্থাপনার প্রাথমিক শর্ত হলো নিকট ও পরিচিত পরিবেশ।

ii) কর্মভিত্তিক পাঠদান প্রক্রিয়া। , এটি আবার কয়েকটি নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। সেগুলি হল –

  • জানা থেকে অজানা নীতি
  • পরিচিতি থেকে অপরিচিতির নীতি
  • অংশ থেকে পূর্ণতার নীতি এবং
  • বিশেষ থেকে সাধারণের নীতি

নারী শিক্ষা

ভগিনী নিবেদিতার শিক্ষা দর্শন এবং শিক্ষা সংস্কারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হল নারী শিক্ষা। ভগিনী নিবেদিতা কলকাতায় নারীদের শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। তিনি মেয়েদের শিক্ষার জন্য কলকাতায় নিবেদিতা গার্লস স্কুল নামক বিদ্যালয় স্থাপন করেন এবং সেই স্কুলের পাঠক্রম থেকে শিক্ষাদান পদ্ধতি ও শৃঙ্খলা প্রভৃতির উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন।

অর্থাৎ ভগিনী নিবেদিতা কলকাতায় নারী শিক্ষার প্রসারে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করেন। কিন্তু ১৮৯১ সালে বিদ্যালয় অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে তিনি 1902 খ্রিস্টাব্দে পুনরায় বিদ্যালয়টি চালু করেন। এই বিদ্যালয়ের তিনি সাধারণ জ্ঞানমূলক বিষয়ে ছাড়াও কলা ও হস্তশিল্প শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করেছিলেন।

নারী শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে ভগিনী নিবেদিতা গার্হস্থ্য জীবনের মূল্যবান দিকগুলির কথা তুলে ধরেন। নিবেদিতার মতে নারী ও পুরুষ জীবন সংগ্রামের পথে পরস্পরের সহযোগী। তাই সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, বিজ্ঞান প্রভৃতি দিকে কোনো সমস্যার সমাধানে নারী পুরুষ একযোগে কাজ করবে।

শিক্ষায় শৃঙ্খলা

ভগিনী নিবেদিতার মতে – শিক্ষায় শৃঙ্খলা হল একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য বিষয়। কারণ শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিয়মাবর্তিতা শিক্ষা দেওয়া সম্ভব। অর্থাৎ ভগিনী নিবেদিতা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে – শৃঙ্খলা ও নিয়মাবর্তিতা হলো শিক্ষার জন্য খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান।

তাই নিবেদিতার মতে – আনুগত্য শৃঙ্খলার প্রথম সিঁড়ি। তাই ভগিনী নিবেদিতা মনে করতেন অনুশাসন হল উপায় এবং শৃঙ্খলা হল লক্ষ্য।

তিনি শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা দানের ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন তা হল –

i) অনুশাসন মেনে চলার মত উপযুক্ত পরিবেশ রচনা করা এবং

ii) শিশু যেন নিজেকে পরিচালনা করার মত স্বাধীনতা পায়। তাই তিনি শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত স্বাধীনতা প্রদানের কথা বলেন, যার মাধ্যমে তারা নিজে থেকেই শৃঙ্খলা পরায়ণ হতে পারে।

উপসংহার (Conclusion)

সর্বোপরি বলা যায়, স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ভগিনী নিবেদিতা ভারতবর্ষের মানুষের দুঃখ দুর্দশা মোচনের জন্য সুদূর বিদেশ থেকে নিজের যাবতীয় সুখ ঐশ্বর্য বিসর্জন করে ভারতবর্ষে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। তিনি আজীবন স্বামী বিবেকানন্দের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করার ব্রত নিয়েছিলেন। তাই ভগিনী নিবেদিতার শিক্ষা চিন্তা ও শিক্ষা সংস্কার (Role of Sister Nivedita in Educational Reforms) দেশপ্রেম আজও সমগ্র ভারতবাসীকে অনুপ্রাণিত করে।

তাই ভারতের নবজাগরণের ইতিহাসে ভগিনী নিবেদিতার ভূমিকা ছিল অপরসীম। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভগিনী নিবেদিতার অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করে ভগিনী নিবেদিতাকে ‘লোকমাতা’ হিসেবে অভিহিত করেন।

তথ্যসূত্র (References)

  • Ravi, S. Samuel, A Comprehensive Study of Education, Fourth Printing-May 2016, Delhi – 110092, ISBN – 978-81-203-4182-1
  • Education in India-Past-Present-Future, Vol. I and II, J. P. Banerjee
  • Landmarks in the History of Modern Indian Education, J. C. Aggarwal
  • Role of Sister Nivedita in Educational Reforms
  • Educational Thought of Great Educators – C. Mihir and P. Pranay, Rita Publication
  • Internet Sources

প্রশ্ন – ভগিনী নিবেদিতার আসল নাম কি

উত্তর – ভগিনী নিবেদিতার আসল নাম হল মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল (Margaret Elizabeth Noble)।

প্রশ্ন – ভগিনী নিবেদিতার পূর্ব নাম কি

উত্তর – ভগিনী নিবেদিতার পূর্ব নাম হল মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল (Margaret Elizabeth Noble)।

প্রশ্ন – ভগিনী নিবেদিতার প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের নাম

উত্তর – ভগিনী নিবেদিতার প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের নাম হল নিবেদিতা গার্লস স্কুল।

প্রশ্ন – ভগিনী নিবেদিতার প্রকৃত নাম কি

উত্তর – ভগিনী নিবেদিতার প্রকৃত নাম হল মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল (Margaret Elizabeth Noble)।

প্রশ্ন – ভগিনী নিবেদিতা পুরো নাম কি

উত্তর – ভগিনী নিবেদিতার পুরো নাম হল মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল (Margaret Elizabeth Noble)।

প্রশ্ন – ভগিনী নিবেদিতা কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন

উত্তর – ভগিনী নিবেদিতা ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে বাতাসে অক্টোবর আয়ারল্যান্ডের একটি ছোট্ট শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

প্রশ্ন – ভগিনী নিবেদিতা কোথায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন

উত্তর – ভগিনী নিবেদিতা ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই অক্টোবর মাত্র ১৪৪ বছর বয়সে দার্জিলিঙে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। অর্থাৎ স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণের মাত্র ৯ বছর পর ভগিনী নিবেদিতা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আরোও পড়ুন

ভগিনী নিবেদিতার শিক্ষা দর্শন ও শিক্ষা সংস্কার | Role of Sister Nivedita in Educational Reforms সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Comment

close