সিমুলেটেড টিচিং কাকে বলে | Concept of Simulated Teaching

শিক্ষণ শিখনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকার শিক্ষণ কৌশল পরিলক্ষিত হয়। এদের মধ্যে জনপ্রিয় শিক্ষণ পদ্ধতি হল সিমুলেটেড টিচিং (Simulated Teaching) বা ভূমিকায়ন শিক্ষণ।

কার্যকরী শিখনের ক্ষেত্রে সিমুলেটেড টিচিং বা ভূমিকায়ন শিক্ষণ বিশেষ ভূমিকা রাখে। সাধারণভাবে শ্রেণিকক্ষে কোনো বিষয় শিক্ষার্থীদের শেখানোর জন্য সেই বিষয়টি একটি প্রতিরূপ বা কৃত্রিমতা যুক্ত করে শিক্ষাদান কার্য করা হয়। অর্থাৎ কোনো কোনো সময় শিখন এর ক্ষেত্রে বাস্তব পরিস্থিতি সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে আসল বা বাস্তব অবস্থার প্রতিরূপের মাধ্যমে শিক্ষাদান কার্য সম্পন্ন করা হয়। আর এটি সিমুলেশন বা ভূমিকায়ণ নামে পরিচিত।

সিমুলেটেড টিচিং কাকে বলে | Simulated Teaching

আধুনিক শিক্ষায় সিমুলেটেড টিচিং বা ভূমিকায়ন শিক্ষণ বা অনুকৃত পাঠ পদ্ধতি বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে এটি প্রাচীনকাল থেকেই শিক্ষার ব্যবহার হয়ে আসছে। তাছাড়া পারিবারিক শিক্ষায়ও এই শিক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন – শিশুদের পুতুল খেলায় শিশুরা মা-বাবা, ভাই-বোন প্রভৃতির ভূমিকা গ্রহন করে।

সিমুলেটেড টিচিং এর উদ্দেশ্য হল – কোনো বিষয়ের বিশেষ কোনো দক্ষতা অর্জন করা বা পটুত্ব অর্জন করা।

R. Wynn বলেছেন – ভূমিকায়ন হল বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে সাজুজ্য রেখে ওই অবস্থার মত উপস্থাপনা।

সিমুলেটেড টিচিং বা ভূমিকায়ন শিক্ষণ বা অনুকৃত পাঠ -এর বৈশিষ্ট্য

সিমুলেটেড টিচিং বা ভূমিকায়ন শিক্ষণ বা অনুকৃত পাঠ এর বৈশিষ্ট্যগুলি হল –

i) শ্রেণিকক্ষের আকার এবং পাঠদানের সময় পাঠ্য বিষয়বস্তুকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করা হয়। অর্থাৎ এটি অনুশিক্ষণের মতো ক্ষুদ্র প্রকৃতির শিক্ষণ।

ii) স্বল্প সময়ের শিক্ষণ পদ্ধতি। অর্থাৎ পাঠের একটি বিশেষ অংশ তিন থেকে পাঁচ মিনিট ধরে পড়ানো হয়ে থাকে।

iii) এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠের শিক্ষণ দক্ষতা বিকাশমূলক প্রক্রিয়া।

iv) এটি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের মূল্যায়নকারী প্রক্রিয়া।

v) শিখনের শেষে শিক্ষার্থীরা বাস্তব পরিস্থিতিতে সহজে তার দক্ষতা গুলিকে ব্যবহার করতে পারে। কারণ সিমুলেশনের সাথে বাস্তব অবস্থার যথেষ্ট মিল বর্তমান।

উপসংহার (Conclusion)

পরিশেষে বলা যায়, সিমুলেশন টিচিং একটি বিশেষ ধরনের শিক্ষণ কৌশল যেখানে শিক্ষক পাঠদান করার সময় অভিনয়ের মাধ্যমে বা সেই বিষয়ে বাস্তব পরিস্থিতির মত কৃত্রিম পরিবেশ স্থাপন করে শিক্ষাদান কার্যকে যথাযথ করে তোলে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে সহজে শিক্ষার্থীদের শিখনের উদ্দেশ্য বা শিখন দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করা যায়। তাই আধুনিক শিক্ষা ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে জনপ্রিয়তা বহুলাংশে পরিলক্ষিত হয়।

তথ্যসূত্র (References)

  • Aggarwal, I. E.: Essentials of Educational Technology: Teaching Learning, Vikash Publishing House Pvt. Ltd. 2001, New Delhi.
  • Bhatt
  • Bhatt and Sharma S. R.: Educational Technology, Kanika Publishing House, New Delhi.
  • Chauhan, S. S.: Innovations in Teaching Learning Process, Vikash Publication, 1990, New Delhi.
  • Hornby, A.S. 1995. Oxford Advanced Learner Dictionary. New York: Oxford University Press
  • Hughes, R. (2002). Teaching and researching speaking. Edinburgh: Pearson Education.
  • Ravi, S. Samuel, A Comprehensive Study of Education, Fourth Printing-May 2016, Delhi – 110092, ISBN – 978-81-203-4182-1,
  • Internet sources

প্রশ্ন – ভূমিকায়ন শিক্ষণ কাকে বলে

উত্তর – যে শিক্ষণ পদ্ধতিতে কোনো বিষয় পাঠদানের জন্য সেই বিষয়টির বাস্তব পরিস্থিতি বা কৃত্রিম পরিস্থিতি উপস্থাপন করা হয়, তাকে ভূমিকায়ন শিক্ষণ বলে।

প্রশ্ন – মাইক্রো টিচিং ও সিমুলেটেড টিচিং কাকে বলে?

উত্তর – মাইক্রো টিচিং হল ক্ষুদ্র শ্রেনী শিক্ষণ যেখানে শ্রেণীর আকার ও পাঠদানের সময় অনেক কম থাকে। আবার সিমুলেটেড টিচিং হল মাইক্রো টিচিংএকটি ধরন যেখানে পাঠদানের সময় শিক্ষনীয় বিষয়কে শিক্ষার্থীদের কাছে উপস্থাপনার জন্য বাস্তব পরিস্থিতির মত কৃত্রিম পরিবেশে শিক্ষাদান করা হয়।

আরোও পড়ুন

Leave a Comment

close