Naturalism : প্রকৃতিবাদের ধারণা, সংজ্ঞা, মূলনীতি ও শিক্ষায় প্রভাব

প্রকৃতিবাদ (Naturalism) হল ‘স্বভাবজ’ প্রকৃতির সাহায্যে পারিপার্শ্বিক প্রকৃতির পরিপূর্ণতা উপলব্ধি করা। এই দর্শনে ‘আত্মসত্ত্বাকেই’ প্রকৃতি হিসেবে গণ্য করা হয়।

এই বিশ্বজগতের সবকিছুর অবস্থান প্রকৃতির মধ্যে। প্রকৃতির বাইরে পরম বা চরম (Absolute)-এর কোন সত্তা বা অস্তিত্ব অবস্থান করেনা। একটি ব্যক্তির পারিপার্শ্বিক বস্তুজগৎ হল প্রাকৃতিক জগৎ। তাই মানুষ এই প্রাকৃতিক জগৎ তথা বস্তু জগতের অবিচ্ছেদ অংশ।

Table of Contents

প্রকৃতিবাদের ধারণা (Concept of Naturalism)

ভাববাদী প্রয়োগবাদী দর্শনের বিপরীতমুখী ধারণা বা মতাদর্শ হল প্রকৃতিবাদী দর্শন। প্রকৃতিবাদীরা মনে করতেন মানুষ হল বিশ্ব প্রকৃতির একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। প্রকৃতিবাদীরা তাই বস্তুর চূড়ান্ত গঠন সম্বন্ধে ভিন্ন ভিন্ন মতবাদ পোষণ করেন।

ঊনবিংশ শতকে ব্রিটিশ শিক্ষাবিদ্‌ স্পেনসার প্রকৃতিবাদের নতুন মাত্রা যুক্ত করেন। তিনি প্রকৃতিবাদ মতবাদকে আরো বেশি বিজ্ঞানসম্মত করে গড়ে তুলেছিলেন। এই জন্য তার প্রকৃতিবাদী মতবাদকে ‘বৈজ্ঞানিক প্রকৃতিবাদ’ বলা হয়ে থাকে।

প্রকৃতিবাদী দার্শনিক (Naturalistic Philosopher)

প্রকৃতিবাদী দার্শনিকদের মধ্যে অন্যতম হলেন – অ্যারিস্টটল, ডারউইন, লক, কার্ল মাকর্স, রুশো, ম্যাকডুগাল, ল্যামার্ক প্রমুখ।

প্রকৃতিবাদের প্রকারভেদ (Types of Naturalism) –

বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী প্রকৃতিবাদকে প্রধান তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে, সেগুলি হল –

i) জৈব প্রকৃতিবাদ,

ii) যান্ত্রিক প্রকৃতিবাদ এবং

iii) বৈজ্ঞানিক প্রকৃতিবাদ

প্রকৃতিবাদের সংজ্ঞা (Definition of Naturalism)

প্রকৃতিবাদী দার্শনিকদের মধ্যে অন্যতম হলেন রুশো (Jean-Jacques Rousseau). তিনি বলেছেন – ” Nature would have them children before they are men”.

প্রকৃতিবাদের মূলনীতি

প্রকৃতিবাদী দার্শনিকগণ প্রকৃতিকে বিশ্বাস করে থাকেন। তাই প্রকৃতিবাদী দার্শনিকগণ বলেন – ‘Go back to nature’. প্রকৃতিবাদ অনুযায়ী যে সমস্ত মূলনীতি বা বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়, সেগুলি হল –

প্রকৃতি হল সর্বোত্তম বাস্তব

প্রকৃতিবাদ অনুযায়ী প্রকৃতি হল সর্বোত্তম বাস্তব বিষয়। অর্থাৎ প্রকৃতি থেকে সকল কিছু সৃষ্টি হয়। এবং সবশেষে আবার তা প্রকৃতিতে ফিরে যায়।

দৃশ্যমান জগত হল সত্য

প্রকৃতিবাদ অনুযায়ী দৃশ্যমান জগত হল সত্য। অর্থাৎ পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে যা কিছু প্রত্যক্ষ করা যায় তার বাস্তব অস্তিত্ব রয়েছে। তাই প্রকৃতিবাদ অনুযায়ী দৃশ্যমান জগৎ হল একমাত্র সত্য।

সুনির্দিষ্ট নিয়মকানুন

প্রকৃতিবাদ অনুযায়ী প্রকৃতির সকল ঘটনা সুনির্দিষ্ট নিয়ম কানুন এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ প্রকৃতির সকল বিষয় একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম কানুন দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। আর মানুষ এই প্রকৃতির অংশ। তাই মানুষের জীবনের সমস্ত বিষয় প্রাকৃতিক নিয়ম ও রীতিনীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

সমাজ জীবন কৃত্রিম ও বাস্তবহীন

প্রকৃতিবাদ অনুযায়ী সমাজ জীবনের সবকিছু কৃত্রিম ও বাস্তবহীন প্রকৃতির। তাই প্রকৃতিবাদী দার্শনিকগণ শিশুকে মুক্ত প্রকৃতির মধ্যে শিক্ষা দেওয়ার পক্ষপাতি ছিলেন।

আত্মা বলতে কিছু নেই

প্রকৃতিবাদী দার্শনিকগণ ভাববাদের মতো আত্মার অস্তিত্বকে স্বীকার করেন না। তাই তারা বলেন মন বা আত্মার কোনো অস্তিত্ব নেই। এইজন্য প্রকৃতিবাদী দার্শনিকগণ ঐশ্বরিক মূল্যবোধের ধারণাতে বিশ্বাস করেন না। অর্থাৎ প্রকৃতিবাদ অনুযায়ী ব্যক্তি নিজে তার পরিবেশের সাথে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে যে মূল্যবোধ গড়ে তোলে সেটি হল তার আদর্শ ও শাশ্বত।

বিজ্ঞানের জ্ঞান হল যথার্থ শক্তি

প্রকৃতিবাদীগণ বিশ্বজগতের সবকিছু বিজ্ঞানভিত্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেছেন। তাই তারা বলেছেন বিজ্ঞানের জ্ঞান হল যথার্থ শক্তি। অর্থাৎ বৈজ্ঞানিক জ্ঞান হল প্রকৃত জ্ঞান এবং সর্বশেষ জ্ঞান।

শিক্ষায় প্রকৃতিবাদের প্রভাব

আধুনিক শিক্ষায় প্রকৃতিবাদ বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করছে। শিক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রকৃতিবাদ যে সমস্ত দিক থেকে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করছে সেগুলি এখানে উল্লেখ করা হল –

1. প্রকৃতিবাদ ও শিক্ষার লক্ষ্য (Naturalism and Aims of Education)

প্রকৃতিবাদ অনুযায়ী ‘আত্মপ্রকাশকেই’ (Self-expression) শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রকৃতিবাদী বিভিন্ন দার্শনিক শিক্ষার লক্ষ্যকে বিভিন্নভাবে তুলে ধরেছেন সেগুলি হল –

i) স্পেনসার বলেছেন – “শিক্ষার লক্ষ্য হচ্ছে সম্পূর্ণ জীবন যাপনের প্রস্তুতি। শিক্ষার ফলে শিশুর বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জীবন সুখের হবে।”

ii) প্রকৃতিবাদী দার্শনিক রুশো বলেছেন – “শিক্ষার লক্ষ্য শিশুকে বাইরের হস্তক্ষেপ ছাড়া স্বাভাবিক সহজাত প্রবণতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী বিকশিত করা।”

iii) আবার, ম্যাকডুগাল বলেছেন – ” আত্মসুখের চেয়ে শিশু প্রবৃত্তির স্বাভাবিক বিকাশ হল শিক্ষার লক্ষ্য”।

এগুলি ছাড়াও প্রকৃতিবাদের শিক্ষার লক্ষ্যগুলি হল –

  • শিশুর ব্যক্তিত্বের পরিপূর্ণ বিকাশ সাধন,
  • জীবনের পূর্ণতা বা জীবনকে সুন্দরভাবে গঠন করা,
  • শিশুর চাহিদা আগ্রহ প্রবণতা অনুযায়ী শিক্ষার মাধ্যমে ‘আত্মপ্রকাশ’ -এর উপর গুরুত্ব আরোপ করা।

2. প্রকৃতিবাদ ও শিক্ষার পাঠক্রম (Naturalism and Curriculum)

প্রকৃতিবাদী দার্শনিকগণ শিক্ষার পাঠক্রম হিসাবে প্রকৃতির উপরই (In Nature) বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তাই প্রকৃতিবাদী দার্শনিকগণ বলেন – ‘প্রকৃতিই’ (Nature) হবে শিশুর শিক্ষার প্রধান বিষয়বস্তু। তাই প্রকৃতিবাদী দার্শনিক রুশো শিশুকে সমাজ থেকে দূরে প্রকৃতির মধ্যে শিক্ষা দেয়ার কথা বলেছেন।

প্রকৃতিবাদ অনুযায়ী শিক্ষার পাঠক্রমের মধ্যে যে সমস্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে তার মধ্যে অন্যতম হল –

i) প্রকৃতি বিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা প্রভৃতি বিষয়গুলি শিশুর প্রকৃতির উপর গুরুত্ব আরোপ করতে সহায়তা করবে।

ii) ভাষা, গণিত প্রভৃতি বিষয়গুলি শিশুর জ্ঞানের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করবে।

iii) ইতিহাস, ভূগোল ও সমাজবিদ্যা এই বিষয়গুলি মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারাবাহিকতা বুঝতে শিশুকে সাহায্য করবে

iv) শারিশিক্ষা, স্বাস্থ্য শিক্ষা এই বিষয়গুলি শিশুকে সুস্থ সবল থাকতে সহায়তা করবে।

v) আবার অংকন বিষয়টি শিক্ষার্থীকে আত্মপ্রকাশনায় সাহায্য করবে।

3. প্রকৃতিবাদ ও শিক্ষাদান পদ্ধতি (Naturalism and Teaching Method)

প্রকৃতবাদ অনুযায়ী শিক্ষাদান পদ্ধতি হবে শিশুর স্বাধীনতা, আগ্রহ, প্রবণতা, প্রভৃতির উপর ভিত্তি করে। তাই শিক্ষাদান পদ্ধতির ক্ষেত্রে প্রকৃতিবাদী দার্শনিকগণ প্রত্যক্ষ শিক্ষাদান পদ্ধতি কথা বলেননি। বরং বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষাদান পদ্ধতির উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

প্রকৃতিবাদ অনুযায়ী শিক্ষাদান পদ্ধতিগুলি হল –

  • শিশুর প্রকৃতি অনুযায়ী শিক্ষাদান করা,
  • আত্মশিক্ষণ,
  • খেলার ছলে শিক্ষাদান,
  • প্রকৃতির মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতাদানের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রদান,
  • পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আবিষ্কারের পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রদান।

4. প্রকৃতিবাদ ও শিক্ষক (Naturalism and Teacher)

প্রকৃতিবাদ অনুযায়ী শিক্ষকের ভূমিকা হল সহায়কের। প্রকৃতিবাদীদের মতে শিশুরা নিজেরাই প্রকৃতির বিভিন্ন নিয়মকানুন আত্মপ্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শিখবে। এ বিষয়ে প্রকৃতিবাদী দার্শনিক রুশো শিক্ষকের ভূমিকা প্রসঙ্গে বলেছেন – ” Leave him master of his own wishes.” কিন্তু রুশো বারবার শিক্ষককে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে শিশুর খামখেয়ালিপনাকে প্রশ্রয় না দিতে। কারণে এটি শিশুকে বিশৃঙ্খলা করে গড়ে তুলতে পারে।

এছাড়া, প্রকৃতিবাদী দার্শনিকগণ শিক্ষকের যে সমস্ত উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কথা বলেছেন তা হল –

  • শিক্ষক শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতার মাধ্যমে তার নিজস্ব বিকাশের পথকে সুগম করবে,
  • শিক্ষকের ভূমিকা হবে সহায়কের। অর্থাৎ শিশুর স্বাভাবিক বিকাশের পথে শিক্ষক বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না।
  • শিক্ষকের ভূমিকা হবে বিকাশমান শিশুকে পর্যবেক্ষণ করা।
  • এই দর্শন অনুযায়ী শিক্ষক শিশুর জন্য এমন পরিবেশ রচনা করবেন যাতে শিশুর সুস্থ সম্ভাবনার স্বাভাবিক বিকাশ সাধন সম্ভবপর হয়।

5. প্রকৃতিবাদ ও বিদ্যালয় (Naturalism and School)

প্রকৃতিবাদ অনুযায়ী শিশু প্রকৃতির কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। তাই প্রতিবাদী দার্শনিকগণ প্রথাগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে যতদুর সম্ভব স্বাভাবিক করার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই তারা বলেন বিদ্যালয় হবে উন্মুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে যেখানে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশসাধন সম্ভব হবে।

প্রকৃতিবাদী দার্শনিক রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক বিদ্যালয় সম্পর্কে বলেছিলেন – ” আমার আশা ছিল যে শান্তিনিকেতনের গাছপালা, পাখিই এদের (শিশুদের) শিক্ষার ভার নেবে”।

তাই প্রকৃতিবাদী দার্শনিকগণ বিদ্যালয় প্রসঙ্গে বলেছেন – শিক্ষার্থীদের চারদেওয়ালের মধ্যে আবদ্ধ রেখে শিক্ষাদান সম্পন্ন হবে না, বরং প্রকৃতিই হল শিশুর আদর্শ বিদ্যালয়।

6. প্রকৃতিবাদ ও শৃঙ্খলা (Naturalism and Discipline)

প্রকৃতিবাদ অনুযায়ী শৃঙ্খলা হবে আত্মশৃঙ্খলা (Self-discipline) বা মুক্ত শৃঙ্খলা (Free-discipline)। তবে স্পেনসার প্রকৃতিবাদী হলেও শিশুর অবাক স্বাধীনতার কিছুটা বিরোধিতা করেছেন।

শিক্ষায় প্রকৃতিবাদের দর্শনের ত্রুটি বা সীমাবদ্ধ (Demerits of Naturalism in Education)

আধুনিক শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রকৃতিবাদের অবদান বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তা সত্ত্বেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রকৃতিবাদ সমালোচনা পরিলক্ষিত হয়। সেগুলি হল –

i) শিশুর উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ।

ii) শিক্ষকের উপর ভরসা না রাখা বা গুরুত্ব হ্রাস করা।

iii) ঈশ্বরের অস্তিত্বকে অস্বীকার

iv) দৃশ্যমান বস্তুকে বিশ্বাস করা প্রভৃতি।

উপসংহার (Conclusion)

সর্বোপরি বলা যায় প্রকৃতিবাদী দর্শন আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত। এই দর্শন অনুযায়ী বিশ্ব প্রকৃতিতে আমরা যা দেখতে পাই বা পর্যবেক্ষণ করতে পারি একমাত্র সেটাই বাস্তব বাকি সব মিথ্যা ও অলৌকিক। তাই এই দর্শন সম্প্রদায়কে ভাববাদী দর্শনের বিপরীত হিসেবে অনেক দার্শনিকগণ মনে করে থাকেন।

তথ্যসূত্র (References)

  • Aggarwal, J. C., Theory and Principles of Education. 13th Ed. Vikas Publishing House Pvt. Ltd.
  • V.R. Taneja, Educational Thoughts & Practice. Sterling Publication Pvt. Ltd. New Delhi
  • Nayak, B.K, Text Book of Foundation of Education. Cuttack, Odisha: KitabMhal
  • Ravi, S. Samuel, A Comprehensive Study of Education, Fourth Printing-May 2016, Delhi – 110092, ISBN – 978-81-203-4182-1,
  • Internet sources

প্রশ্ন – প্রকৃতিবাদের প্রবক্তা কে?

উত্তর – প্রকৃতিবাদের প্রবক্তাগণ হলেন- রুশাে, অ্যারিস্টটল, ডারউইন, ফ্রয়েবেল, পেস্তালৎসী, রবীন্দ্রনাথ প্রমুখ।

প্রশ্ন – শিক্ষায় প্রকৃতিবাদের প্রবক্তা কে?

উত্তর – শিক্ষায় প্রকৃতিবাদের অন্যতম প্রবক্তা হলেন – রুশো (Jean-Jacques Rousseau), রবীন্দ্রনাথ (Rabindranath) প্রমুখ।

প্রশ্ন – দুইজন প্রকৃতিবাদী দার্শনিকের নাম লেখো?

উত্তর – দুইজন প্রকৃতিবাদী দার্শনিকের নাম হল – রুশো (Jean-Jacques Rousseau) ও রবীন্দ্রনাথ (Rabindranath)।

প্রশ্ন – প্রকৃতিবাদ কাকে বলে?

উত্তর – যে মতবাদ অনুযায়ী প্রকৃতি প্রধান বিষয় হিসেবে বিবেচ্চ হয়, তাকে প্রকৃতিবাদ বলা হয়। এই মতবাদ অনুযায়ী মানুষ হল বিশ্ব প্রকৃতির একটি ক্ষুদ্র অংশমাত্র।

প্রশ্ন – প্রকৃতিবাদ কয়প্রকার ও কি কি?

উত্তর – প্রকৃতিবাদ তিন প্রকার। যথা –
১. জৈব প্রকৃতিবাদ,
২. যান্ত্রিক প্রকৃতিবাদ ও
৩. বৈজ্ঞানিক প্রকৃতিবাদ।

প্রশ্ন – বৈজ্ঞানিক প্রকৃতিবাদের প্রবক্তা কে?

উত্তর – বৈজ্ঞানিক প্রকৃতিবাদ -এর প্রবক্তা হলেন – স্পেনসার।

আরোও পড়ুন

2 thoughts on “Naturalism : প্রকৃতিবাদের ধারণা, সংজ্ঞা, মূলনীতি ও শিক্ষায় প্রভাব”

Leave a Comment

close